আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারতে গিয়ে কিংবা গতকাল (সোমবার) আমেরিকান দূতাবাসে গিয়ে কারও বিরুদ্ধে নালিশ করিনি। দুই জায়গাতেই দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি।’ মঙ্গলবার ( ১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আদমজী জুট মিল চালু সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত মে দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ভারত সফরকে অনেকেই নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত করেছে। রাজনীতির সঙ্গে একটা নীতি নৈতিকতার সম্পর্ক থাকে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সেক্রেটারি জেনারেল গত বছরের শেষ দিকে সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমার সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। স্টেট মিনিস্টারস অব ফরেন এফেয়ারস সকালের একটি নাস্তার আয়োজন করেছিল। সেখানে আমাকে তিনি একটি ডেলিগেশন নিয়ে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিসেম্বর মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নান কারণে সময় মিলিয়ে উঠতে পারি নাই। বারবার তারিখ মেলাতে গিয়ে মেলানো যাচ্ছিলো না। পরে বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে মার্চের ১১ তারিখে আমাদের জানানো হয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের একটি স্লট ২৩ তারিখে করা যায়। তখন এই সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে আমরা পরিকল্পনা করলাম যাওয়ার। ছয়দিনের প্রোগ্রাম দুইদিনে সারতে হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাহেব আমাদের ৩২ মিনিট সময় দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেছেন এবং পরে ফটোসেশন করেছেন।’
ভারতে গিয়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি- এই দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সমর্থন করার বিষয়ে কোনও কথাই উচ্চারণ করিনি। বাংলাদেশের স্বার্থ, জাতীয় স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। আমরা একবারও কারও বিরুদ্ধে নালিশ করিনি। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়েও কোনও কথা হয়নি। কথা হয়েছে তিস্তা নিয়ে, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে পারস্পারিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একইভাবে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে সৌজন্য ডিনারে অংশ নিয়েছি। এখানে লুকোচুরির কিছু নাই। জানুয়ারি মাসে আমেরিকান দূতাবাস থেকে বলা হয়েছিল এই আমন্ত্রণের কথা। আমারও সময়ের সঙ্গে মেলানো কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আবার বার্নিকাটেরও প্রতি মাসে আমেরিকা যেতে হয়। সময়ের মিল করেই ৩০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানেও আমরা দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি। যেসব কথা জনসমাবেশে বলি, মিটিং এ বলি, প্রেস ব্রিফিংএ বলি সেগুলো ভারত কিংবা আমেরিকান দূতাবাসে গিয়ে আমরা বলি না। কারও কাছে নালিশ করে আমরা রাজনীতি করতে আসিনি।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন