অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ভোট আসলে দুই ভাগে বিভক্ত। একভাগে এখন যারা ক্ষমতায় আছেন তারা। আর একভাগে তাদের বিরুদ্ধে সকল জনগণ। এই বিরোধী সকল জনগণ তার পাশেই দাঁড়াবে, সেই নেতার পাশেই দাঁড়াবে, সেই মার্কার পেছনে দাঁড়াবে যিনি পুলিশকে ভয় করেন না। জনগণের আমানত রক্ষায় প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্রে শহীদ হবেন, কিন্তু ভোটকেন্দ্র ছাড়বেন না। প্রচারণার শেষদিনে সিলেটে এমনই হুংকার ছাড়লেন জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের পক্ষে শেষ নির্বাচনী জনসভা থেকে এমন ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ৩০ তারিখে নির্বাচন তিনটি সিটিতে হচ্ছে। তার মধ্যে সিলেট একটা। এছাড়াও রাজশাহী এবং বরিশালে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে ৩০ তারিখে যেন নির্বাচন শুধু সিলেটেই হচ্ছে। কারণ, সিলেটের একটা আলাদা পরিচয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আছে। এই নগরী হচ্ছে শাহজালাল শাহপরাণসহ ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত। এই সিলেটের লাখ লাখ মানুষ প্রবাসে থাকে। তারাও এই নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এই সিলেট হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের সিলেট। এখান থেকে ৪ দলীয় ঐক্যজোটের সূচনা হয়েছিল। এই সিলেট হচ্ছে সেই সিলেট, যেখানে কিছু কুলাঙ্গারকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণের জন্য বাছাই করা হয়েছিল, এই সিলেট থেকে তার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছিল। এই সিলেট হলো সেই সিলেট যেখান থেকে জুবায়ের ভাই ঢাকায় গিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন- এখানের আলাদা গুরুত্ব এজন্যই যে, এখানে একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হয়েছেন তার নাম এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। ৩০ তারিখে জনগণ এহসানুল মাহবুবকেই বাছাই করবে ইনশাআল্লাহ।
জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের এই শেষ পথসভায় জনতার ঢল নেমেছিলো। আসপাশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো। নেতাকর্মীরা সেখানে ভোটের দিন যেকোনো মূল্যে রাজপথে থাকবেন বলেও শপথ করেন।
সিলেট নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব মো: ফখরুল ইসলাম ও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ড. মোবারক হোসাইন, লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট মহানগর সভাপতি মাহবুবুর রহমান খালেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা জহুরুল হক, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা উত্তরের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, ২০ দলীয় জোট সিলেট মহানগর সদস্য সচিব ও এডভোকেট জুবায়েরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, এনডিপি জেলা সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, জাগপার মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান আহমদ লিটন, নেজামে ইসলাম পার্টি জেলা সভাপতি ক্বারী আবু ইউসুফ চৌধুরী, বিজেপি জেলা সদস্য সচিব ডা: একেএম নুরুল আম্বিয়া, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা: হাবীবুর রহমান, ২০ দলীয় জোট সিলেট জেলা সদস্য সচিব ও সাবেক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান প্রমুখ।